ইশান ও নাফিস হত্যা রহস্যের উৎঘাটন ও তদন্তের দায়িত্ব পায় কোলকাতা পুলিশের মহিলা পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট অদ্রি ব্যানার্জী। ঢাকা সিটি কলেজে পড়া শেষে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজিতে মাস্টার্স করে পরে সেখানেই এএসপি হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন তিনি। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিলো, কিন্তু জোড়া খুনের খবরে অদ্রির অতীন্দ্রিয় যেন বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শোনার পর থেকেই মামলার ফাইলটা হাতে নিয়ে ঘেটে দেখবার জন্য অস্থিরতা কাজ করছে ভেতরে। কিন্তু অফিসে যেতে এখনো এক ঘন্টার মতো বাকি, চায়ের কাপটায় শেষ চুমুক দিয়ে রেখে দিল পাশে। আজ না হয় একটু আগেই পৌছাবে অফিসে, সেই ভেবে মিনিট দশেকের ভেতরেই প্রস্তুত হয়ে নিল... সরকারি কোয়ার্টারের শেষ মাথায় সরু গলিটার প্রথম ভবনেই থাকে অদ্রি। ভবনের নিচে রোজকার মতো হর্ণ বাজলে সে নেমে জিপে চড়ে বসে, এরপর সোজা কর্মস্থলে। থানায় পৌছে হাতঘড়ির দিকে তাকাতে দেখে নিল সকাল ৮:৪৩ বাজে, সাধারণত অফিস শুরু হওয়ার প্রায় সতের মিনিট আগেই পৌঁছেছে আজ। একে একে সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের থানায় আসতে ১০:০০টা নাগাদ বেজে যাবে। যথেষ্ট সময় আছে হাতে, কেইস ফাইলটার পিছনে ভালো একটা সময় ব্যয় করা যাবে।